ঘুম আমাদের
শরীরে অতিব জরুরী একটা জিনিস। ঘুমের কারনে আমাদের শরীর সতেজ ও মজবুত করে তোলে। ঘুমের
উপরই আমাদের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা অনেকাংশে
নির্ভর করে।
আমরা লক্ষ
করে দেখবো যে, অধিকাংশ ব্যাবসায়ী রা অনেকাংশে ঘুমের সমস্যায় ভোগে এবং তারা কখনো সুস্থ্যতা
অবলম্বন করে না।
আর এর মূল কারণ হচ্ছে তাদের পরিমান মতো ঘুম না হওয়া।
আর তাদের সল্প ঘুমের একটাই কারণ হচ্ছে তারা চিন্তা বেশি করে।
আর গবেষনায়
দেখা গেছে যে, বেশি চিন্তা করার কারনে শারীরিক ভাবে ভালো করে ঘুম আসতে পারে না। আর তারা ব্যাবসায়ী বিষয়ে নান প্রকার চিন্তা করে
এই জন্য তাদের ভালো করে শারীরিক প্রয়োজন অনুযায়ী ঘুম হয় না। আর সল্প ঘুমের কারনে নানা
প্রকার অসুখ হয়ে থাকে । তাই বড় বড় শিল্পপতিরা এই সমস্যায় জীবন যাপন করে থাকে।
সাধারনত
ঘুম নিয়ে আমাদের সমস্যা কম নয়। অনেকাংশে খেয়াল করা গেছে যে অনেকেই বিছানায় শুতে যাওয়ার
পরেও তাদের ঠিক মতো ঘুম হয় না বা ঘুম আসে না। তারা শারীরিক এবং মানসিক সমস্যায় ভোগেন।
আর আমাদের
সকল মানুষেরই পর্যাপ্ত পরিমাণ ও সময়মত ঘুমের প্রয়োজন রয়েছে। আর সল্প ঘুম আমাদের
শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর আবার অন্য দিক থেকে বেশি ঘুমানোও আমাদের শরীরের জন্য
সমান ভাবে ক্ষতি করে। তাই আজকে আলোচনা করবো আমাদের বয়স অনুযায়ী আমাদের দৈনিক কত টুকু ঘুমানো প্রয়োজন।
তাহলে চলুন জেনে নিন কোন বয়সে আমাদের কতটা ঘণ্টা ঘুমানো উচিতঃ
১. ০ থেকে
৩ মাস পযর্ন্ত সাধারনত শিশুদের জন্য ১৬ থেকে ১৭ ঘন্টা ঘুমানো উচিৎ। কারন ঘুমের মাধ্যমে
তাদের মস্তিস্কের বিকাশ ঘটে। এই জন্য সাধারন ভাবে প্রত্যেক ০ থেকে ৩ মাস বয়সীদের দৈনিক
১৬ থেকে ১৭ ঘন্টা ঘুমানো উচিৎ।
২. ৪ থেকে ১১ মাস পযর্ন্ত বয়সীদের সাধারনত ১২ থেকে ১৫
ঘন্টা ঘুমানো উচিত। সাধারন ভাবে ৪ থেকে ১১ মাস হয়ে গেলেই বিশেষ ভাবে বাচ্চাদের ঘুমের
পরিমান অনেকাংশে কমে যায় এবং তারা খেলাধুলা করে । তাই এই বয়সী শিশুদের কম পক্ষে ১২
থেকে ১৫ ঘন্টা ঘুমানো উচিত।
৩. ১ থেকে
২ বছর পযর্ন্ত বাচ্চাদের সাধারনত ১১ থেকে ১৪ ঘন্টা ঘুমানো উচিত। কারন এই সকল বাচ্চাদের
ঘুমের পরিমান অনেক কমে যায় এবং তাদের খেলাধুলা করে বেশি। ঘুমানোর মধ্যে তারা রাতেই
ঘুমিয়ে থাকে। তাই এই সকল বাচ্চাদের দৈনিক ১১
থেকে ১৪ ঘন্টা ঘুমানো উচিত।
৪. ৩ থেকে
৫ বছর পযর্ন্ত বাচ্চাদের সাধারনত ১০ থেকে ১৩ ঘন্টা ঘুমানো উচিত দৈনিক। এই বয়সে সাধারনত বাচ্চারা স্কুলে ভর্তি হয়ে থাকে
যার ফলে তারা ঘুমের সময় কম পেয়ে থাকে। তাই
এই সকল বয়সীদের দৈনিক ১০ থেকে ১৩ ঘন্টা ঘুমানো উচিত দৈনিক।
৫. ৬ থেকে
১৩ বছর পযর্ন্ত সাধারনত ৯ থেকে ১১ ঘন্টা ঘুমানো
উচিত দৈনিক। মূলত এই বয়সের বাচ্চারা পড়া শুনার
পাশাপাশি নানা প্রকার কাজে লিপ্ত হয়ে থাকে। যেমন:- গান শেখা, বিভিন্ন প্রকার চিত্রাঙ্কন
করা এই রকম নানা প্রকার শিখনের কাজে লিপ্ত হয়ে যায় ফলে তাদের দৈনিক ৯ থেকে ১১ ঘন্টা
প্রয়োজন।
৬. ১৪
থেকে ১৭ বছর পযর্ন্ত সাধারনত ৮ ঘন্টা ঘুমানো
উচিত দৈনিক। আমরা সাধারনত ১৪ থেকে ১৭ বছর বয়সী
ছেলে মেয়েদের কিশোর এবং কিশোরী বলে থাকি। সাধারনত এই বয়সে কিশোর কিশোরীদের এ সময় পড়াশোনার
চাপ আরও বাড়ে। যার ফলে তাদের নানা রকম শারীরিক ও মানসেক সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই
এই বয়সে অন্তত ৮ ঘন্টা সবোর্চ্চ ঘুমাতেই হবে।
৭. ১৮
থেকে ২৫ বছর পযর্ন্ত সাধারনত ৭ ঘন্টা ঘুমানো উচিত
দৈনিক। এই সময় স্কুল লাইফ ছেড়ে তাদের কলেজ লাইফ এ পা দিতে হয় এবং বয়সের সাথে
বেড়ে যায় পড়াশুনার চাপ। তাই এই সময় দৈনিক কমপক্ষে ৭ ঘন্টা ঘুমানই উচিত।
৮. ২৬
থেকে ৬৪ বছর পযর্ন্ত সাধারনত ৭ থেকে ৯ ঘন্টা ঘুমানো উচিত দৈনিক। মূলত এই বয়স নিউরনের একটি অংশ (ভেন্ট্রোল্যাটেরাল
প্রিঅপটিক নিউক্লিয়াস) নষ্ট হতে থাকে। যার ফলে তাদের ঘুম কমে যায় তাই তাদের কমপক্ষে
তাদের দৈনিক ৭ থেকে ৯ ঘন্টা ঘুমানো উচিত।
৯. ৬৫
এর বেশি বছর বয়সীদের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘুম কমে যায় । ৬৫ বছর বয়সীদের সাধারনত বা
কমপক্ষে হলেও ৭ ঘন্টা ঘুমাতেই হবে। অনেকাংশে লক্ষ করা যায় যে তাদের ৫ ঘন্টার বেশি ঘুমাতে
পারেনা। তাই তাদের চেস্টা করে হলেও ৭ ঘন্টা ঘুমানো উচিত।
0 Comments