আমরা অনেকেই জানি দাঁতের যত্ন নিতে বা দাঁত পরিস্কার করতে আমরা দাঁত ব্রাশ করে থাকি। এক্ষেত্রে আমরা অনেকেই দিনে ২ থেকে ৩ বার ব্রাশ করে থাকি। কিন্ত আমরা হয়তো আমরা কি সঠিক পদ্ধতিতে ব্রাশ করার নিয়ম জানিনা। আর সে ক্ষেত্রেই দিনে ২ থেকে ৩ বার ব্রাশ করে থাকি। হ্যাঁ সব নিয়ম অনুসারে দাঁত ব্রাশ করার সঠিক পদ্ধতি আছে তা হয়তো বা আমরা জানিনা বা এটা জানার চেষ্টা ও করি না অনেক ক্ষেত্রে।

আর আমাদের ভুল পদক্ষেপের জন্য আমাদের সৌন্দর্যের মূল অংশ বিশেষ দাঁত হারিয়ে ফেলি কিংবা বিভিন্ন প্রকারের সমস্যায় আক্রান্ত হয়ে থাকি।



তাই আজকে আমরা আলোচনা করবো দাঁত ব্রাশ করার সঠিক নিয়মঃ

ব্রাঁশ করার কিছু ভুল ধারণাঃ


১. আমরা অনেকেই দাঁতের সঠিক ভাবে যত্ন নেই না। অনেকেই রয়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকার ব্রাশ কিনে নিজেই কল্পনা করে হয়তো যে অনেক টাকা বাচিয়ে ফেললাম। কিন্ত আমরা একবারো লক্ষ করিনা এই বর্তমান এর জন্য ভবিষ্যৎ এ কত টাকা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। হ্যাঁ কম টাকা দিয়ে ব্রাঁশের ব্রিসল অনেক শক্ত হয়ে থাকে যার ফলে উপরের মাড়ি এবং নিচের মাড়ির অনেক ক্ষতি করে যার ফলে বেশি জোড়ে ব্রাশ করার ফলে মাড়ি থেকে রক্ত বের হয় অথবা কিছুদিন লক্ষ করলে দেখা যায় যে, মুখের ঘাঁ সৃষ্টি হয়ে যায়। তাই এই ভাবনা দূরে রাখুন।

২. আমরা অনেকেই খুব জোড়ে চাপ দিয়ে ব্রাশ করি মুখ ভালো করে পরিস্কার হবে এবং দাঁত ঝকঝকে হবে এই কারণে মাঝে মাঝে খুব জোড়ে ব্রাশ করি কিন্ত এই পদক্ষেপ টি নিতান্তই ভুল। আমাদের জোড়ে ব্রাশ করার ফলে আমাদের দাঁতের  এনামেল নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভবনা থাকে। তাই এই ভুল ধারণা হতে বিরত রাখি নিজেকে।

৩. অতিরিক্ত সচেতন মানুষ রা ভাবে খাওয়ার পরপরই ব্রাশ করা উচিত এটা নিতান্তই ভুল ধারনা। খাওয়ার পর কমপক্ষে ১ থেকে  ২ ঘন্টা পর ব্রাঁশ করা উচিত। খাওয়ার পরপরই ব্রাশ করার ফলে দাত ক্ষয় যাওয়ার সম্ভবনা থাকে। তাই  এই ধারনা টা পাল্টে ফেলুন আপনার পক্ষে অনেকটাই উপকৃত হবেন।

৪. কম দামি টুথপেস্ট না কিনে আপনি ভালোমানের একটা বিজ্ঞাপন দেখে টুথপেস্ট কিনুন।

দাঁত ব্রাঁশ করার সঠিক নিয়মঃ


ক. প্রথমেই আমরা আপনাকে Recommend করবো  যে আপনি একটা ভালোমানের টুথপেস্ট এবং ভালোমানের ব্রাঁশ কিনুন। কারণ আপনার সৌন্দর্যটাই আগে। আপনার দাঁতের যত্ন আপনাকেই নিতে হবে।

খ. নিয়ম অনুসারে সকালে নাস্তার পর অথবা সকালে ঘুম থেকে উঠেই আপনি ব্রাঁশ করবেন আর রাতে খাওয়ার ১ ঘন্টা পর ব্রাঁশ করে ঘুমিয়ে পরবেন। এই দুইটি সঠিক নিয়ম ব্রাঁশ করার।  আর আপনার বাচ্চাদের জন্য কম ঝাঝালো একটা ভালোমানের টুথপেস্ট কিনে দিন।

গ. আপনার ব্রাঁশের শলাকা মসৃন ভাবে ব্রাঁশ করুন।

ঘ. দাঁতের ভিতর পাশে এবং বাহিরে সমান ভাবে ব্রাঁশ করুন আর আপনি তাহাহুরা করে কখনোই ব্রাঁশ করবেন না অবশ্যই হাতে সময় নিয়ে ব্রাঁশ করবেন। আর আপনি কমপক্ষে দুই মিনিট সময় নিয়ে ব্রাশ করুন।

ঙ. বিজ্ঞানীদের গবেষনার মতে তিন মাস পর পর ব্রাশ পরিবর্তন করা উচিত তাই এই অনুযায়ী তিন মাস পর পর আপনি টুথব্রাঁশ পরিবর্তন করুন। দীর্ঘদিন একই ব্রাশ করা উচিত নয় তাই কষ্ট হলেও মেনে চলুন।

চ.  অনেকের একটা বদ অভ্যাস রয়েছে যে চকলেট বা মিষ্টি জাতীয় খাদ্য গ্রহন। মিস্টি জাতীয় দ্রব্য বা চকলেট খাওয়ার পরপরই আপনি ব্রাঁশ করে ফেলুন। হ্যা নিয়ম অনুসারে দিনে কমপক্ষে ২ বার ব্রাঁশ করা উচিত কিন্ত এই সকল খাদ্য গ্রহনের পর অবশ্যই ব্রাঁশ করুন।

ছ. অতিরিক্ত দীর্ঘ সময় নিয়ে দাঁত ব্রাশ করার প্রয়োজন নেই। বেশি জোরে ও দ্রুত ব্রাশ করা থেকেও বিরত থাকুন। ব্রাশের আঘাতে যেন মুখগহ্বরের ভেতের ঝিল্লির পর্দা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।

জ. টক জাতীয় খাদ্য খাওয়ার পরপরই ব্রাশ করা হতে বিরত থাকুন। কারন এতে আপনার দাঁতের ক্ষতি হতে পারে।

আপনার বাচ্চাদের ছোটবেলা থেকেই সঠিক নিয়মে ব্রাশ করা শেখানো অভিভাবকের দায়িত্ব। দাঁতের সুস্বাস্থ্যের জন্য শিশুদের মাছের কাঁটা চিবিয়ে খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।