সকালে ঘুম থেকে উঠে টয়লেট যাওয়ার পর ভালো করে বাথরুম না হলে সারা দিন টাই নষ্ট হয়তো পেট ব্যাথা আরো নানা রকমের সমস্যা। বাথরুম ভালো করে না হলেও সারাদিন সস্থি নেই। সারাদিন কেমন জানি অসস্থির মধ্যে কাটে।  আবার পেটের সমস্যা নিয়ে আমরা সকলেই লজ্জ্বায় তেমন কিছু কাউকে বলতেই পারি না।


আমরা হয়তো কেই জানি না কোষ্ঠকাঠিন্য কী বা এটা কিরকম রোগ। তাহলে চলুন যেনে নিই কোষ্ঠকাঠিন্য কী?
পায়খানা শক্ত বোঝাতে আমরা এই সমস্যাকে কোষ্ঠকাঠিন্য বলে থাকি। মেডিকেল এর মতে পায়খানা সপ্তাহে তিন বারের কম অথবা পরিমানের কম শক্ত এবং শকনো হওয়াকে আমরা কোষ্ঠকাঠিন্য বলে থাকি।  কী কী সমস্যা অনুভব করলে বুঝবেন আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য হয়েছে?
তাহলে চলুন যেনে নিই কোষ্ঠকাঠিন্য রোগের লক্ষন গুলো কী কীঃ
·         মলত্যাগে দীর্ঘক্ষন সময় লাগলে।
·         মলত্যাগে অনেক বেশি চাপের দরকার হওয়া।
·         অধিক সময় ধরে মলত্যাগ করার পরেও অসম্পর্ণ মলত্যাগ হওয়ার বলে অনুভব করা।
·          মলদ্বার বা মলদ্বারের আশেপাশে ব্যাথা অনুভব করা।

কোষ্ঠকাঠিন্য রোগের লক্ষন গুলো তো জানলাম তাহলে  চলুন যেনে নিই মূলত কী কী কারনে কোষ্ঠকাঠিন্য হয়ে থাকেঃ

Ø  আপনার খাদ্যভাসের পরিবর্তন এর কারণে হতে পারে। যেমনঃ আশঁযুক্ত খাবার ও শাক সবজি কম খাওয়া কারনে কোষ্ঠ্যকাঠিন্য হয়ে থাকে।
Ø  স্বাভাবিক ভাবে সল্প পরিমানে পানি গ্রহন করার ফলে কোষ্ঠ্যকাঠিন্য হয়ে থাকে।
Ø  সময় মতো মলত্যাগ না করার ফলে আপনার কোষ্ঠ্যকাঠিন্য হতে পারে। মূলত টয়লেট এর চাপ আসলে তখন মলত্যাগ না করার ফলে আপনার কোষ্ঠকাটিন্য হতে পারে।
Ø  অতিরিক্ত দুশ্চিতা এর কারনে কোষ্ঠকাঠিন্য হয়ে থাকে।
Ø  প্রসাবের সমস্যার কারনে কোষ্ঠকাঠিন্য হয়ে থাকে।
Ø  অতিরিক্ত মাত্রায় ফাস্ট ফুট খাদ্য গ্রহন করার ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য হয়ে থাকে।
Ø  এসিডিটি এর কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য হয়ে থাকে।


মূলত এই সকল কারণে কোষ্ঠকাটিন্য হয়ে থাকে। তাহলে আমরা ধারাবাহিক ভাবে জেনে গেলাম কী কী কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য হয়ে থাকে। তবে যারা এই সমস্যায় আক্রান্ত তারা কিভাবে ঘড়োয়া পদ্ধতিতে মুক্তি পাবেন কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে ।
চলুন তাহলে যেনে নিই কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পাবার উপায়ঃ

১. কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পেতে বেশি বেশি করে আমাদের শাক সবজি খাওয়া।

২. কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পেতে বিভিন্ন পরিমানের আশঁযুক্ত খাবার গ্রহন করা। আশঁযুক্ত খাবার গ্রহনের মাধ্যমে আমরা কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পেতে পারি।

৩. কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পেতে আমরা স্যালাইন খেতে পারি । স্যালাইন এর মাধ্যমে আমাদের পেট ফাপা দূর হবে এবং অতি সহজেই আমরা কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পাবো।

৪. কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পেতে আমরা ইসবগুলের ভুসি পান করতে পারি। ইসবগুলের ভুসিতে হজম শক্তি বৃদ্ধি পায় যার ফলে খুব সহজেই আমরা কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পেতে পারি।

৫. কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পেতে আমরা পেপে, তরমুজ, শশা, গাজর ও বেল খেতে পারি।

৬. কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পেতে ফাস্ট ফুড খাদ্য খাদ্য খাওয়া কমিয়ে দিন। ফাস্ট ফুডের মাধ্যমে আপনার এসিডিটি বৃদ্ধি পায় এবং যার ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য হয়ে যায়। তাই ফাস্ট ফুড খাদ্য খাওয়া কমিয়ে দিন।

৭. কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পেতে পানি বেশি পরিমানে গ্রহন করুন। স্বাভাবিকের তুলনায় আপনি দিনে ২-৩ লিটার পানি গ্রহন করুন যার ফলে হজম শক্তি বেশি হবে এবং এসিডিটি কমে যাবে।

৮. কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পেতে এগুলোর পাশাপাশি আপনি দুশ্চিতা কম করুন এবং মানসিক চাপ মুক্ত ভাবে জীবন যাপন করার চেস্টা করুন।

৯.  কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পেতে যতটুকু পারেন আপনি নিয়মিত ব্যায়াম করুন পারলে সকাল বেলা দৌড়ান যার ফলে আপনার মন এবং শরীর দুইটাই ভালো থাকবে।

১০. কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পেতে আপনি যত টুকু পারেন মল চেপে না রাখার অভ্যাস তৈরি করুন।

এই টিপস এর মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পেতে পারেন। মূলত এসিডিটি বেশি হওয়ার কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য হয়ে থাকে। তাই যতটুকু পারেন ফাস্ট ফুড খাদ্য কম পরিমানে গ্রহন করুন। এভাবেই পারবেন আপনি কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পেতে।