অনেকদিন থেকে খাদ্য গ্রহনে নিয়ম না মেনে থাকলে,  না খেয়ে থাকার কারণে, অতিরিক্ত খাওয়ার কারণে পেট ফুলে থাকাটা বর্তমানে খুবই সাধারণ একটি সমস্যা।
আমাদের চারপাশের অনেক মানুষ এই সমস্যায় ভুগছেন প্রতিনিয়ত এই এসিডিটি তে। সাধারণত অনেকক্ষণ না খেয়ে ক্ষুধা চেপে রাখলে, বেশি বেশি তেলে ভাজা বা তৈলাক্ত খাবার খেলে, পর্যাপ্ত পানি পান না করলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হয়ে থাকে।

আমাদের এই এসিডিটি যেকোন বয়সে হতে পারে । তাই আমাদের সকলেরই এই বিষয়ে সতর্ক হয়ে থাকা অন্তর্ত জরুরী। কারন এসিডিটি এর ফলে আমাদের খাদ্যে অরুচি বিভিন্ন প্রকার সমস্যা হতে পারে।
আজকে আমরা আলোচনা করবো কি কারনে এসিডিটি হয়ে থাকে বা কি কারনে গ্যাস্টিক হয়ে থাকে এবং এসিডিটি বা গ্যাস্টিক থেকে মুক্তি পাবার উপায়।

কি কারনে আমাদের এসিডিটি বা গ্যাস্টিক হয়ঃ

·         পরিমিত ভাবে পানি পান না করার ফলে হতে পারে।
·         অতিরিক্ত খাদ্য খাওয়ার ফলে হতে পারে।
·         বেশি ফাস্ট ফুড খাওয়ার ফলে এসিডিটি হতে পারে।
·         তৈল জাতীয় খাদ্য অনিয়ম করে খাওয়ার ফলে এসিডিটি হতে পারে।
·         ঝাল জাতীয় খাদ্য বেশি খাওয়ার ফলে হতে পারে ।
·         পরিমিত ঘুম না হওয়ার ফলে হতে পারে।

মূলত বিশেষ ভাবে এই সমস্ত কারনে আমাদের এসিডিটি হয়ে থাকে। আর এসিডিটি এর ফলে কোষ্ঠ্যকাঠিন্য হয়ে থাকে। আপনার যদি কোষ্ঠ কাঠিন্য সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে কোষ্ঠ্যকাঠিন্য কী? কোষ্ঠ্যকাঠিন্য থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে আমাদের একটি পোস্ট আছে আপনি চাইলে তা পরে নিতে পারেন। আপনাদের সুস্থ্যতাই আমাদের কাম্য। এসিডিটি হওয়ার ফলে আমাদের বুক জ্বালা করে পেট ব্যাথা করে, আরো অনেক প্রকার সমস্যা হয়ে থাকে । তাই কিছু ঘড়োয়া উপায়ে  এসিডিটি বা গ্যাস্টিক থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব তাহলে চলুন যেনে নিই।

 এসিডিটি বা গ্যাস্টিক থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় :-


১. এসিডিটি থেকে মুক্তি পেতে প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময়ে দুপুর ও রাতের খাবার খান।

২. এসিডিটি থেকে মুক্তি পেতে পরিমিত ভাবে খাদ্য গ্রহন করুন কারন বেশি খাদ্য গ্রহনে ফলে হজম প্রক্রিয়ার সমস্যা থেকে এসিডিটি হয়ে থাকে।  তাই আপনি পরিমিত ভাবে খাদ্য গ্রহন করুন।

৩. আপনার এসিডিটির ফলে যদি বমি হয়ে থাকে তাহলে শক্ত খাবার কম খাবেন।

৪. এসিডিটি থেকে মুক্তি পেতে পানি জাতীয় খাদ্য বেশি পরিমানে খান। গবেষনায় দেখা গেছে যে, বেশি পানি পান করার ফলে এসিডিটি সম্পূর্ন মাত্রায় কমে যায়। তাই বেশি পানি পান করুন।

৫. এসিডিটি থেকে মুক্তি পেতে বিভিন্ন প্রকার চিনি জাতীয় পানীয় কম গ্রহন করুন। যেমন :- বিভিন্ন প্রকার ড্রিংস।

৬. এসিডিটি থেকে মুক্তি পেতে খাবারের দিকে একটু নজর রাখুন। রাতের খাবারের ২ ঘন্টা পর আপনি ঘুমিয়ে পড়ুন। বিজ্ঞানীদের মতে খাদ্য গ্রহনের পর যদি আপনি ঘুমিয়ে পরেন তাহলে আপনার হজম প্রক্রিয়া ঘুমের কারনে বন্ধ হয়ে যায় তাই রাতে খাওয়ার ১-২ ঘন্টা পর ঘুমিয়ে পড়ুন।

৭. এসিডিটি থেকে মুক্তি পেতে কখনো চিকিৎসক এর পরামর্শ ছাড়া কোন প্রকার বমি বা পেট খারাপের ওষুধ সেবন করবেন না।

৮. এসিডিটি থেকে মুক্তি পেতে সবসময় তাজা বা টাটকা খাদ্য গ্রহন করুন।

৯. এসিডিটি থেকে মুক্তি পেতে নিয়মিত ব্যায়ামের অভ্যাস করুন।

১০. এসিডিটি থেকে মুক্তি পেতে আপনি অতিরিক্ত তেল মসলা যুক্ত খাদ্য গ্রহন হতে বিরত থাকুন। কারন তেল মসলা যুক্ত খাদ্য এসিডিটি বাড়িয়ে তোলে।

১১. এসিডিটি থেকে মুক্তি পেতে বাহিরের খাদ্য খাওয়া সাময়িকের তুলনায় কমিয়ে দিন। বাহিরের খাদ্য আপনার এসিডিটি বাড়িয়ে দেয়।

১২. এসিডিটি থেকে মুক্তি পেতে বেশি তৈলাক্ত খাদ্য খাবার থেকে বিরত থাকুন।

১৩. এসিডিটি থেকে মুক্তি পেতে ৩০ মিনিট পর হলেও ১ গ্লাস পানি পান করুন।

১৪. এসিডিটি থেকে মুক্তি পেতে মাংস, ডিম, বিরিয়ানি, মোগলাই, চায়নিজ খাবার যা-ই খান না কেন, তা দুপুরের মেন্যুতে অন্তর্ভুক্ত করুন। রাতের খাবারটি যেন হালকা হয়। শাকসবজি, ছোট মাছ এসব দিয়ে রাতের মেন্যু সাজান।

১৫. এসিডিটি থেকে মুক্তি পেতে খাওয়ার পূর্বে ১ গ্লাস পানি পান করার অভ্যাস করুন।

১৬. এসিডিটি থেকে মুক্তি পেতে শাকসবজি বেশি পরিমানে খান।

১৭. বেশি পরিমানে এসিডিটি চাপ দিলে আপনি লেবু বা লেবুর সরবত খেতে পারেন।

এই সমস্ত নিয়ম মেনে চললে আপনি এসিডিটি বা গ্যাস্টিক থেকে পুরোপুরি মুক্তি পেতে পারবেন। আমাদের সাস্থ্য বিষয়ের নানা রকম টিপস পেতে আপনি আমাদের ওয়েবসাইট থেকে পড়ে নিতে পারেন। তাই আমাদের সাথেই থাকুন। কোন প্রকার প্রশ্ন থাকলে কমেন্টে এর মাধ্যমে করতে পারেন। আমরা আপনার প্রশ্নটি বিবেচনা করে উত্তর দেওয়ার চেস্টা করবো।