হস্তমৈথুন
একটি খারাপ অভ্যাস যা একজন পুরুষের জীবন শেষ করে দিতে পারে। অতিরিক্ত হস্তমৈথুনের কারনে
কী কী ক্ষত হয় তা নিয়ে আমরা একটি পোস্ট করেছি। আপনি চাইলে তা পরে নিতে পারেন। অতিরিক্ত
হস্তমৈথুন এর কারনে পুরুষের যৌনাঙ্গের মারাত্মক ক্ষতি হয়ে যেতে পারে।
যাদের
এই হস্তমৈথুন নেশায় পরিনত হয়েছে তারা চাইলে
এটি কিছু নিয়মের মাধ্যমে আপনি এই নেশা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। শুধু আপনাকে এই ঘড়োয়া
নিয়মগুলি মেনে চলতে হবে।
তাহলে চলুন যেনে নিই অতিরিক্ত হস্তমৈথুন থেকে মুক্তি পাবার উপায়ঃ
১. প্রথমেই
আপনাকে নিজের কাছেই শক্ত হতে হবে যে আমি আর এই রকম বাজে নেশার মধ্যে লিপ্ত হবো না।
২. আপনি
আপনার নিজে থেকেই সময় চিহ্নিত করে নিন কোন সময় আপনার এই হস্তমৈথুনের ইচ্ছা হয়ে ওঠে।
৩. বাসার
মধ্যে কম্পিউটার থাকলে কম্পিউটার এ পর্ণ ব্লকিং সফটওয়্যার ইনিস্টল করে নিন যাতে করে
আপনি দ্বিতীয় বার পর্ন এর উপর আসক্ত হয়ে না পরেন।
৪. কম্পিউটারে
পর্ন দেখতে দেখতে হস্তমৈথুন করার অভ্যাস থাকলে কম্পিউটার এমন রুমে স্থানান্তর করুন
যে রুমে পরিবারের লোকজন কম থাকে।
৫. হস্তমৈথুন
এক বারেই ছেড়ে দেয়া লাগবে না আপনায় । মাঝে মাঝে করবেন তবে বেশি আসক্ত হয়ে পরবেন না
যার কারণে আপনার ভবিষ্যৎ নষ্ট হয়ে যায়।
৬. যারা
খারাপ বিষয় এবং মেয়েদের নামে বাজে বা পর্ন মুভি নিয়ে আলোচনা করে তাদের এড়িয়ে চলুন।
কারন তাদের সঙ্গে মেলামেশা করলে আপনি যতই হস্তমৈথুনের নেশা হতে বের হয়ে আসতে চান না
কেন তা কখনই সম্ভব হবে না। তাই সেই সকল বন্ধুদের সাথে মেলামেশা বাদ দিয়ে দিন।
৭. যখন
আপনার খুব বেশি হস্তমৈথুন করার ইচ্ছা জাগবে নিজেকে সামলাতে পারবেন না তখন ঘরের মধ্যে
না থেকে বাইরে বের হয়ে যান। কারন ঘরের মধ্যে থাকলে আপনি যতই চেষ্টা করেন না কেন তা
কখনো নিজেকে সামলাতে পারবেন না। তাই এই সময়ের জন্য হলেও ঘর থেকে বেরিয়ে যান।
৮. সন্ধ্যার
মধে ঘুমিয়ে পরবেন না। কিছু করার না থাকলে বই পড়েন অথবা মুভি দেখেন।
৯. ভিডিও
গেম খেলতে পারেন যার মাধ্যমে আপনার এই নেশার কথা ভুলিয়ে দেবে। মূলত হচ্ছে আপনি কোনকিছুর
উপর ব্যস্থ থাকুন।
১০. হস্তমৈথুন
এ আসক্ত হয়ে পরলে :- ঘরে কম সময় কাটাবেন, ভালো বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিবেন, জগিং করবেন,
সাইকেল চালাতে পারেন, লাইব্রেরি বা কফিশপে আড্ডা দিতে পারেন বা সময় কাটাতে পারেন।
১১. খারাপ
কথা এবং যৌন মিলন সম্পর্কিত কথা গুলো একদম এড়িয়ে চলবেন।
১২. যখন
তখন একায় বিছানায় যাবেন না যার মাধ্যমে আপনি আবার ও সেই নেশায় পড়ে যেতে পারেন।
১৩. বাথরুমে
হস্তমৈথুন করার অভ্যাস থাকলে বাথরুম থেকে খুব তাড়াতারি বেরিয়ে আসুন এবং ঠান্ডা পানি
বেশি ব্যবহার করুন।
১৪. মেয়েদের
কখনো খারাপ দৃষ্টিতে তাকাবেন না । মূলত যেমন কাজ করলে উত্তেজনা হয় সেই রকম কোন প্রকার
কাজ করবেন না।
১৫. যতটা
পারেন নিজেকে ব্যাস্থ রাখুন।
১৬. যে
কোন উপায়ে হোক আপনি পর্ন এবং চটিগল্প এড়িয়ে চলুন। এগুলোই একমাত্র মাধ্যম যার কারনে
আপনি হস্তমৈথুন করতে বাধ্য হন। তাই এসমস্ত বিষয় এড়িয়ে চলুন।
১৭. বন্ধু-বান্ধব
এবং পরিবার এর সাথে দীর্ঘক্ষন সময় কাটান। কারন এদের মাধ্যমে আপনি এই নেশা হতে মুক্তি
পেতে পারেন।
১৮. যোগ
ব্যায়াম করতে পারেন। এই ধ্যান অথবা যোগব্যায়ামের মাধ্যমে আপনি এই নেশা হতে বেরিয়ে আসতে
পারেন।
১৯. বাড়িতে
অথবা রুমে আপনি কখনো একা থাকবেন না বা সময় কাটাবেন না।
২০. নিজের
কথা সবসময় চিন্তার করবেন এবং সবার কথায় চিন্তা করবেন এর মাধ্যমে আপনি এই আসক্ত থেকে
মুক্তি পেতে পারেন।
২১. উপুর
হয়ে ঘুমাবেন না। কারন যৌন উত্তেযনা হলে আবার সেই আসক্তে লিপ্ত হয়ে যেতে পারেন।
২২. গালফেন্ড
বা প্রেমিকা থাকলে তাদের সাথে উত্তেজক বা খারাপ কথা বলবেন না।
২৩. ফোন
শারিরীক মিলন এড়িয়ে চলুন এবং ফ্রি সময় গান শুনতে পারেন।
এসমস্ত
বিষয় আপনি মেনে চলতে পারলে হস্তমৈথুন নামক নেশা হতে খুব সহজেই মুক্তি পেতে পারেন।
0 Comments